বিডিনিউজ ১০, ডেস্ক: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রত্যাখ্যাত ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীরা উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন। তাদের কারণে প্রতিদিনই ছোটখাটো সহিংসতার ঘটনা ঘটছে, বাড়ছে সংঘাতের আশঙ্কা। হুমকি-ধমকি, প্রচারকাজে বাধা, পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করছেন তারা।
ইতোমধ্যে প্রভাবশালী ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের দাপটে দলসমর্থিত অনেকের নির্বাচনী কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও সমাধান না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন সমর্থনপ্রাপ্ত অনেক প্রার্থী।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) ১২৯টি ওয়ার্ডের ৭৭টিতে আওয়ামী লীগের ১১১ বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে উত্তরের ৫৪টি ওয়ার্ডের ৩৫টিতে ৩৯ জন এবং দক্ষিণের ৭৫টি ওয়ার্ডের ৪২টিতে ৭২ জন বিদ্রোহী প্রার্থী সক্রিয় রয়েছেন। কয়েকটি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডেও রয়েছেন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী।
‘বিদ্রোহী’ অনেক প্রার্থীর পেছনেই সরকারি দলের প্রভাবশালী এমপি-নেতাদের প্রত্যক্ষ ইন্ধন রয়েছে। যে কারণে বিদ্রোহীরা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করার সাহস দেখাচ্ছেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে রয়ে যাওয়ার বিষয়ে অনড় রয়েছেন। এমপিদের ছেলে, শ্যালক ও ভাগ্নেরাও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং দল ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের প্রভাবশালী স্থানীয় নেতাদের অনেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন দলসমর্থিত প্রার্থীরা।
এ পরিস্থিতিতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিস্কারের পাশাপাশি যেসব এমপি-নেতা মদদ দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। সম্প্রতি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পৃথক বৈঠক থেকে বলা হয়েছিল, নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলীয় পদ-পদবি থেকে বহিস্কারসহ ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত ডিএনসিসির ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্রোহী প্রার্থী কেএম ফজলুল হককে বহিস্কার করা ছাড়া আর কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ‘বিদ্রোহী’দের বহিস্কারের সিদ্ধান্ত অনেকটা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকায় বেপরোয়া অবস্থান নিতে দ্বিধা করছেন না তারা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অবশ্য সম্প্রতি সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। কারণ আওয়ামী লীগের মতো বড় দলে বিশেষ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকেই। এসব ছোটখাটো সমস্যা নিয়েই আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে, নির্বাচনে বিজয়ীও হচ্ছে।
এমপির ছেলে-ভাগ্নে-শ্যালকরাও বিদ্রোহী :ডিএনসিসির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের সরকারদলীয় এমপি হাজী সেলিমের ভাগ্নে মো. হাসান পিল্লু। অথচ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এমপি হাজী সেলিমেরই মেজো ছেলে ইরফান সেলিম। স্থানীয় নেতাকর্মীরা হাজী সেলিমের নির্দেশে তার ছেলে ইরফান সেলিমের পক্ষে প্রচারাভিযানে নেমেছেন। ফলে দলসমর্থিত প্রার্থীই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। সহিংসতার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
হাসান পিল্লুর অভিযোগ, তাকে ভয়ভীতি দেখানোসহ প্রচারে বাধা দেওয়ায় তার প্রচারকাজ বন্ধ হতে চলেছে। তবে ইরফান সেলিমের দাবি, এলাকার নেতাকর্মী ও মুরব্বিদের চাপে বাধ্য হয়ে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। সবার সমর্থনে তিনিই বিজয়ী হবেন।
উত্তর সিটির ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে দলসমর্থিত বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা-১১ আসনের এমপি একেএম রহমতুল্লাহর ভাগ্নে আইয়ুব আনছার মিন্টু। ভাগ্নে মিন্টুকে ইন্ধন দিচ্ছেন স্থানীয় এই এমপি। দলসমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে এরই মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, ভাগ্নেকে জেতাতে এমপি রহমতুল্লাহ বিএনপির লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তবে এমপির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা তার পক্ষে কাজ করছেন।
একইভাবে উত্তরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দলসমর্থিত মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য দেওয়ান আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা-১৪ আসনের এমপি আসলামুল হক আসলামের শ্যালক মনসুর আহমেদ। এমপি আসলাম শ্যালকের পক্ষে রয়েছেন।
দক্ষিণের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক দলীয় সমর্থন পেলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হাসিব উদ্দিন রসির পক্ষ নিয়েছেন এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম। এমপির ছেলে সোলায়মান সেলিম ও লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামালসহ এমপি সমর্থক নেতাকর্মীরা ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রসির পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। এ ছাড়া দক্ষিণের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দলসমর্থিত প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর ড. ওমর বিন আবদুল আজিজ তামিমের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়া বৃহত্তর লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাগর আহম্মেদ শাহিনও এমপি হাজী সেলিমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ওমর বিন আবদুল আজিজ তামিম সমকালকে বলেন, অস্ত্র মামলার আসামি শাহিন কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হাজী সেলিম অবশ্য বিদ্রোহী প্রার্থীদের ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পল্লবী-রূপনগরের ৫ ওয়ার্ডেই ‘বিদ্রোহী’ :ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনের (পল্লবী-রূপনগর) অন্তর্ভুক্ত উত্তর সিটির পাঁচটি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী রয়েছেন। সেখানকার সরকারদলীয় এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহর ইন্ধনেই তারা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর মধ্যে ২ নম্বর ওয়ার্ডে দলসমর্থিত পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কদম আলী মাদবরের বিরুদ্ধে ইসমাইল হোসেন বেনু, ৩ নম্বরে দলসমর্থিত পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিন্নাত আলীর বিরুদ্ধে বর্তমান কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, ৫ নম্বরে দলসমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর আবদুর রউফ নান্নুর বিপক্ষে মোহাম্মদ জুয়েল রানা, ৬ নম্বরে দলসমর্থিত রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন রবিনের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী এবং ৭ নম্বরে দলসমর্থিত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের বিপক্ষে ইয়াকুব আলী ও কাজী স্বপন আলী বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীরা স্থানীয় এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহর সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
সালাউদ্দিন রবিনের অভিযোগ, এমপির প্রভাবে তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী ও তার লোকজন রবিনের প্রচারে বাধা দিচ্ছেন, পোস্টার ও স্টিকার ছিঁড়ে ফেলছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বাপ্পী বলেন, দল যাকে প্রার্থী করেছে, তার জনপ্রিয়তা নেই বললেই চলে। সবাই তার পক্ষে কাজ করছেন।
নেতাদের ইন্ধনেও বিদ্রোহী প্রার্থী :উত্তরের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে দলসমর্থিত প্রার্থী বিলুপ্ত দক্ষিণখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউদ্দিন মোল্লা পনুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম। আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতার পরামর্শেই তিনি ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীদের। পনুর অভিযোগ, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৮ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন কেবল নাঈমকে বিদ্রোহী প্রার্থী করেননি, স্থানীয় নেতাদের নিজের বাসায় ডেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। এলাকার নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছেন ওই নেতা।’
দক্ষিণ সিটির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমের নির্দেশে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি দলের সমর্থন পাচ্ছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহসভাপতি মোহা. আবুল বাশারের। দক্ষিণের ৫২ নম্বর ওয়ার্ডে দলসমর্থিত কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাছিম মিয়ার বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন রুহুল আমিন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য ও ঢাকা-৪ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নাছিম মিয়া বলেন, এলাকার কর্তৃত্ব ধরে রাখতে সানজিদা খানম তার বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন।
দক্ষিণের ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডে দলসমর্থিত বর্তমান কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় নেতা আওলাদ হোসেন ও খোরশেদ আলম বাবু মাস্টার। আওলাদ হোসেনকে দলের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এবং খোরশেদ আলম বাবু মাস্টারকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ড. আওলাদ হোসেন ইন্ধন দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ড. আওলাদের নির্দেশে কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থী খোরশেদের পক্ষে কাজ করছেন বলে অভিযোগ আকাশ কুমার ভৌমিকের। তিনি বলেন, সানজিদা খানম, ড. আওলাদ হোসেন ও মোবারক হোসেনের কাছে গিয়ে তিনি তার পক্ষে কাজ করার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তারা কাজ তো করছেনই না, উল্টো অন্য নেতাকর্মীদেরও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ইন্ধন দিচ্ছেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েও লাভ হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ড. আওলাদ হোসেন বলেন, তিনি দলীয় প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করছেন। এ ব্যাপারে জানতে সানজিদা খানমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দক্ষিণের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন নগর দক্ষিণের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক খ. ম. মামুন রশিদ শুভ্র। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর ইন্ধনে শুভ্র ভোটের মাঠে রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শুভ্র নিজেও বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আবু আহমেদ মন্নাফীই তাকে মাঠে থাকতে বলেছেন। তবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর লিখিত নির্দেশনা দিলে নির্বাচনী কার্যক্রম গুটিয়ে নেবেন তিনি। গোলাম আশরাফ তালুকদারের অভিযোগ, বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষের লোকজন তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দেওয়ায় ইতোমধ্যে থানায় জিডি করেছেন তিনি।